শ্রীমঙ্গলে রেস্টুরেন্ট এর তালিকা
চায়ের রাজধানী বলে খ্যাত শ্রীমঙ্গল। তাই এই
স্থানের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পাচ্ছে দিন দিন। তার সাথে পর্যটকের মনে বাসা বাঁধে
শ্রীমঙ্গল দেখার। যদিও শহর টি ছোট, একটি উপজেলা তবুও অনেক গুনে গুণান্বিত। এর
প্রচার প্রসার জেলার চেয়েও বেশি। এক সময় ব্রিটিশের অবস্থান এখানেই ছিল বেশি। দিন দিন দেশি বিদেশি পর্যটকের আগমনে স্থানীয় লোকেরা রেস্টুরেন্ট খুলেছেন শ্রীমঙ্গলে। কয়েকটি রেস্টুরেন্টের নাম এখানে দেয়া হলো।
(১) কুটুমবাড়ি - খুবই জনপ্রিয় খাবার পরিবেশনকারী রেস্তোরা। অনেক দিন ধরে সুনাম ধরে রাখছে কারন তাদের খাবারের মান ভালো, পরিবেশ ও ভালো। অর্ডারের পরই খাবার রান্না করা হয়। তার
মানে হচ্ছে টাটকা খাবার। সব ধরনের দেশি ও ইন্ডিয়ান খাবারের ব্যবস্থা রয়েছে।
পার্সেলে খাবার নেওয়া যায়। শহরের প্রান কেন্দ্রে স্টেশন রোড এ চৌমুহনা সংলগ্ন এই
রেস্টুরেন্ট এর অবস্থান। দুপুরের ও রাতের খাবার এর ব্যবস্থা এই রেস্টুরেন্ট করে
থাকে। পর্যটকের জন্য পরিবেশ বান্ধব রেস্তোরা।
(২) পানসী - ভালো রুচি সম্মত খাবার পাওয়া যায়। কিন্তু খুব ব্যস্ত, অনেক কাস্টমার। এই রেস্তোরা
একটি জনপ্রিয় নাম। সিলেটজুরে তাদের কয়েকটি রেস্তোরা রয়েছে একই নামে। এর
অবস্থান ভানুগাছ রোডস্থ, সিএন,জি ও কার স্ট্যান্ডের পাশে।
(৩) সাতকড়া- আরেকটি জনপ্রিয় নাম। সিলেটের বিখ্যাত
সাতকড়া লেবু যা দিয়ে তরকারী তৈরী হয়। এর নামানুসারে এই রেস্টুরেন্টের নাম করন করা
হয়ছে। কুটুম বাড়ীর বিপরীতে অবস্থিত এই রেস্টুরেন্ট। খাবারে মান ভালো। সার্ভিস ও
খুবই ভালো। এখানের বিশেষত্ব হচ্ছে- সাতকড়ার তরকারি।
(৪) শ্বশুর বাড়ি- এক সময়ের জনপ্রিয় নাম। এই নামে
একটি রেস্টুরেন্ট ছিল। ভানুগাছ রোডস্থ, রেল গেইট সংলগ্ন। খাবারের মান ও ভালো।
অর্ডার অনুযায়ী খাবার রান্না করা হয়।
(৫) লন্ডন রেস্টুরেন্ট- নতুন নামে নতুন আঙ্গিকে
জনপ্রিয় একটি রেস্টুরেন্ট। স্থানীয় লোকের সমাগম বেশি। সকালের নাস্তা, দুপুরের ও
রাতের খাবার পাওয়া যায়।
(৬) গ্র্যান্ড তাজ- উন্নত মানের রেস্টুরেন্ট।
মৌলভীবাজার রোডস্থ এই রেস্টুরেন্টের অবস্থান। খাবারের মান ভালো। নিরবে বসে খাওয়ার
একটি ভালো ব্যবস্থা। বিভিন্ন পার্টির আয়োজন করা যায়। দেশি খাবার যেমন ভাত, মাছ,
মাংস ও সবজি পাওয়া যায়।
(৭) আগ্রা রেস্টুরেন্ট- সুপরিচিত একটি
রেস্টুরেন্ট। এই রেস্টুরেন্ট দেশি, ইন্ডিয়ান, চাইনিজ খাবার পরিবেশন করে থাকে।
পরিবেশ ভালো, ভালো খাবার, ভালো সার্ভিস। এর অবস্থান গুহ রোড, শ্রীমঙ্গল।
(৮) গ্র্যান্ড সুলতান এর রেস্টুরেন্ট- একটি পাঁচ
তারকা মানের হোটেলের রেস্তোরা। যারা পাঁচ তারকা হোটেলে থাকেন তারা এখানে খাবার
গ্রহন করেন। বাহিরের কোন লোক খাবারের জন্য যোগাযোগ করতে পারেন। সব ধরনের খাবার
ব্যবস্থা আছে।
(৯) ই-ক্যাপে এন্ড জুস বারঃ শহরের প্রান কেন্দ্রে
হবিগঞ্জ রোডস্থ, শ্রীমঙ্গল চৌমুহনা সংলগ্ন অবস্থিত। এখানে বিভিন্ন ধরনের চা রয়েছে,
এমনকি সাতকালার চা ও পাওয়া যায়। তাছাড়া ফলের জুস- সিজন ভিত্তিক জুস পাওয়া যায়।
নিরিবিলি পরিবেশ, পরিস্কার পরিচ্ছন্ন। স্থানীয় লোকেরাই বেশি এখানে খাবার গ্রহন করতেছে।
(১০) চাচার দোকানঃ একজন বয়স্ক লোকের এই চায়ের
দোকান। তিনি এই দোকানটি পরিচালনা করেন। এখন তার এক ছেলে নাম সাদ্দাম সেও এই
দোকানের দেখা শুনার দায়িত্ব নিয়েছে- চাচার দোকান বা সাদ্দামের দোকান নামে পরিচত।
এখানে বিশেষকরে স্থানীয় লোকের সমাবেশ। চাচার দোকানের মুল আকর্ষন হচ্ছে চারিদিকে
প্রাকৃতিক পরিবেশ যেমন এখানে বসে চা খেয়ে খেয়ে আপনি চা বাগানের দৃশ্য ও জঙ্গলের
ছোঁয়া পেতে পারেন। দুধ চা ও রঙ চা পাওয়া যায়।
(১১) মেজবানি রেস্টুরেন্ট- গ্র্যান্ড সুলতানের কাছেই। সকালের নাস্তা,
দুপুরের খাবার ও রাতের খাবার পাওয়া যায়।
(১২) আরও কিছু রেস্টুরেন্ট আছে তাদের অবস্থান এখানে দেওয়া হলো। গ্র্যান্ড সুলতানের
কাছে দুইটি রেস্টুরেন্ট আছে। তাদের রেস্তোরায় ভাত, নাস্তা, চা ও সাত কালার চা
পাওয়া যায়।
(১৩) তাছাড়া
প্রত্যেকটি হোটেলে, গেস্ট হাউসে, কটেজে ও রিজোর্টে রেস্তোরা রয়েছে। এদের রেস্তোরায়
খেতে হলে আগে থেকে অর্ডার করতে হয়। না হয় মুহুর্তে খাবার পাওয়া যায় না। অন্তত
পক্ষে ২ ঘন্টা আগে অর্ডার করবেন।
(১৪) পাহাড়ি খাবার- লাউয়াছড়া যাওয়ার পথে একটি
রেস্তোরা আছে সেখানে পাহাড়ি খাবার খেতে পারবেন। যেমন, বেম্বু চিকেন, বাশের সুট,
তরকারি, কাটালের তরকারি, ডুমুরের তরকারি, কাকড়া ইত্যাদি।
উপরের রেস্তোরাতে খেতে হলে যেকোন জায়গা থেকে যেতে
পারবেন। বিভিন্ন হোটেল, গেস্ট হাউস, রিজোর্ট, কটেজ থেকে সহজেই যেতে পারবেন।
ভুল ভ্রান্তি ও কোন সংশোধন এর পরামর্শের জন্য
যোগাযোগ করতে পারেন আমাদের ঠিকানায়।
