প্রকৃতির নিপুন হাতে তৈরী বাংলাদেশের ২য় বৃহত্তম পার্বত্য অঞ্চল সিলেট। পাহাড় ও হাওড়ের এলাকা সিলেট। এই শহরের মধ্য দিয়ে বয়ে চলেছে সুরমা নদী। সিলেট বিভাগে প্রবেশ করার সাথে সাথেই আপনি দেখবেন শত শত চা বাগান আর সবুজ বন। এখানে পাহাড় ও টিলাগুলো আবৃত করে রেখেছে বন ও চাবাগানে। সবুজ চা বাগান আর সবুজ বন দেখে মনে হবে এ যেন সবুজের মেলা। টিলায় টিলায় উচু নিচু এত সবুজের সমারোহ দেখে মন জুড়িয়ে যায়।
সিলেট ভ্রমনস্থানগুলো এখানে দেওয়া হলোঃ
• শাহজালাল এর মাজার – সিলেট ভুমি পুন্য হলো মাজারের কারনে। বাংলাদেশে এই বিভাগেই সবচেয়ে মাজার বেশি। সিলেটকে বলা হয় ৩৬০ আউলিয়ার দেশ, কারন এখানে ৩৬০ আউলিয়ার মাজার রয়েছে। তাই দেশের সব জেলা থেকে সিলেট জেলায় আসেন মাজার জিয়ারতে। বিখ্যাত মাজার হচ্ছে শাহজালালের মাজার। তিনিই ছিলেন ৩৬০ আউলিয়ার মধ্যে প্রধান। শাহজালালের পর আপনি শাহপরানের মাজার জিয়ারত করতে পারেন।
• চা বাগান – সর্বপ্রথম চা বাগান প্রতিষ্টিত হয় সিলেটে। অনেক চাবাগান রয়েছে এখানে। সবুজ প্রকৃতি দেখতে চাইলে আপনি অবশ্যই চা বাগান দেখতে যাবেন।
• জাফলং – সিলেটের অন্যতম স্থান জাফলং। জাফলং যেন শিল্পির হাতে আঁকা নিখুত ছবি। সিলেট শহর থেকে মাত্র ৭০ কিঃমি দূরে উত্তর পুর্ব প্রান্তে খাসিয়া জৈন্তা পাহাড়ের ঢালুতে অবস্থিত প্রকৃতির নৈসর্গিক জাফলং এর অবস্থান। জাফলং প্রবেশের আগে ভারতের উচু উচু পাহাড় থেকে ঝর্ণার পানি গড়িয়ে আছড়ে পড়ছে আমাদের বাংলাদেশে। এখান থেকে দেখতে পারবেন ভারতের জল প্রপাত। জাফলং এ দেখবেন মানুষ পাথর সংগ্রহ করতেছে নধী থেকে। হিমালয়ের বুক চিরে আসছে অসংখ্য পাথর। এই স্থান থেকে সংগৃহীত পাথর দেশের সর্বত্র যোগান দেওয়া হয়।
• খাসিয়া জাতি – এখানেও আপনি খাসিয়া উপজাতি/আদিবাসীদের জীবন যাত্রা দেখতে পারবেন।
• জিরো পয়েন্ট – দুটি দেশের সীমানা যেখানে আপনি ভারতের মানুষের জীবন ও বাড়ীঘর দেখতে পারবেন।
• তামাবিল বর্ডার – মেঘালয় ও শিলং যেতে হলে এই বর্ডার দিয়ে যেতে পারবেন।
• লালাখাল – নিল পানির নদী লালাখাল। এখানে আপনি নৌকা ভ্রমণ করতে পারবেন আর ভারতের পাহাড়ি দৃশ্য দেখতে পারবেন।
• রাতারগুল সোয়াম বন – রাতারগুল সোয়াম ফরেস্ট বাংলাদেশের একমাত্র সোয়াম ফরেস্ট।
• সাদাপাথর - ছবির মতো সাজানো প্রাকৃতিক দৃশ্য আপনার মন বিমোহিত করে দিবে।
• বিছনাকান্দি – ভারতের সীমানায় অবস্থিত প্রাকৃতিক দৃশ্য।
