দুটি পাতা একটি কুঁড়ির দেশ শ্রীমঙ্গল। শ্রীমঙ্গল হচ্ছে মৌলভীবাজার জেলার একটি উপজেলা। যদিও ছোট্ট শহর তবুও জেলার চেয়ে বেশি পরিচিতি। এই শহর ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের পুর্বে অবস্থিত। মৌলভীবাজার জেলা ও কমলগঞ্জ শহর শ্রীমঙ্গল শহরের উপর ব্যাবসায়ীকভাবে নির্ভরশীল। ফল, সবজি ও অন্যান্য জিনিসপত্রের পাইকারী ও খুচরা ব্যবসায়ী কেন্দ্র। শ্রীমঙ্গলকে চায়ের রাজধানী ও বলা হয়। কারন অধিকাংশ চা বাগান শ্রীমঙ্গলে অবস্থিত। শ্রীমঙ্গল শহরে প্রবেশ করলেই আপনাকে চায়ের বাগান সবুজের হাতছানি দিকে স্বাগতম জানাবে। পথিমধ্যে চা কন্যার ছবি-ই এর আবাস। কমলগঞ্জ, মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জে ভ্রমণ করতে হলে শ্রীমঙ্গলে রাত্রি যাপন করাই সুবিধাজনক। কারন এই শহর পর্যটন নগরী হিসেবে পরিচিত, তাই অনেক হোটেল স্থাপনা হয়েছে। সব ধরনের হোটেল রয়েছে। বাজেট হোটেল থেকে পাঁচ তারকা মানের হোটেল রয়েছে। খাবারের জন্য অনেক রেস্তোরা রয়েছে যেখানে আপনি দেশি খাবার, চাইনিজ, ইন্ডিয়ান খাবার, থাই খাবার ও আদিবাসীদের খাবার পাওয়া যায়। পাহাড়ী এলাকায় প্রকৃতি প্রেমীদের জন্য অনেক কটেজ ও রিজোর্ট তৈরী করা হয়েছে। আপনি যদি সবুজ প্রকৃতি পছন্দ করেন, তাহলে অবশ্যই এই এলাকা ভ্রমণ করবেন। এই শহরে প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়, শীত ও বেশি হয়। শ্রীমঙ্গলের আসল সৌন্দর্যের রুপ দেখতে হলে আপনাকে যেতে হবে জুন থেকে নভেম্বর মাসে। প্রচুর বৃষ্টির জন্য চারিধিকে সবুজের সমারোহ দেখতে পাবেন। নিচের লিঙ্ক শ্রীমঙ্গল ভ্রমণ এ ক্লিক করে জানতে পারেন কি কি দর্শনীয় স্থান রয়েছে। প্রত্যেকটি স্থানের বর্ননা দেওয়া আছে।
শ্রীমঙ্গল থেকে আপনি যেসব পর্যটন স্থান ভ্রমণ করতে পারবেন তার নাম নিচে দেওয়া হলোঃ
- লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান, খাসিয়া আদিবাসী, মণিপুরি আদিবাসী, ত্রিপুরা আদিবাসীদের গ্রাম ও জীবন যাত্রা, চাবাগান, লেইক, বীরশ্রেষ্ট হামিদুর রহমান এর স্মৃতিসৌধ, ২য় বিশ্ব যোদ্ধের ওয়ার সেমিট্রি, গলফ মাঠ, ইন্ডিয়ান বর্ডার, মাধব কুন্ডু, রাবার বাগান, লেমন গার্ডেন, সিতেশ বাবুর চিড়িয়াখানা, বাইক্কাবিল হাওর, সাত কালার চা কেবিন ও হামহাম জল প্রপাত।
- কিভাবে যাবেন? – ঢাকা থেকে যেতে পারেন- বাস, ট্রেইন ও রিজার্ভ গাড়ী। শ্যামলী বাস, হানিফ বাস ও এনা বাস দিন রাত চলাচল করে। দূরত্ব প্রায় ২০০ কিঃমি।
- যদি এই লেখা আপনার উপকারে আসে, লেখাটি শেয়ার করে অন্যদের ভ্রমনে সাহায্য করুন। লেখার সংযোজন প্রয়োজন হলে, আমাদের অনুগ্রহ করে জানান।