সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান । বাংলাদেশের একমাত্র ট্রপিক্যাল বন । ভ্রমন করতে হলে জেনে রাখা উচিৎ


আপনাকে
স্বাগতম আমাদের এই পেইজটি পড়ার জন্য এই পেইজে সব সময় আপডেট তথ্য পাবেন লাউয়াছড়া সম্পর্কে লাউয়াছড়া বন একটি চিরহরিৎ বন সব সময় গাছের পাতা সবুজ থাকেলম্বা লম্বা গাছ আর বড় গাছ আর কোথাও পাবেন না। আঁকা বাঁকা পায়েচলা পথে হাঁটা নিরবে বনকে উপভোগ করা। বেশির ভাগ গাছের বয়স ১০০ এর উপর। অনেক ঔষধি গাছ রয়েছে। তাই বোটানির ছাত্র ছাত্রীরা এখানে গবেষনার কাজে আসে। এই বনকে বলা হয়ে থাকে উল্লুকের শেষ আবাস স্থল। এখানেই কয়েকটি উল্লুক পরিবার দেখতে পারবেন। সংখ্যায় কম থাকায় সহজেই দেখা যায় না। ধৈর্য্য ধরে অপেক্ষায় থাকলে অবশ্যই দেখতে পারবেন। লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান খুবই জনপ্রিয় একটি পার্ক লাউয়াছড়া বন ছিল ভানুগাছ রিজার্ভ ফরেস্ট এর অধিন পার্ক হিসেবে ঘোষনা হওয়ার পর থেকে জনপ্রিয়তা খুবই বেশি পেয়েছেতাই বিশেষ দিন যেমন শুক্রবার, শনিবার অথবা ছুটির দিনে পর্যটকের ঢল নেমে আসে। ৮০০ থেকে ১০০০ মানুষ এই পার্কে আসে বিশেষ দিনগুলোতে।  এই বনের মূল আকর্ষণ হলো ট্রপিক্যাল রেইন ফরেস্ট ঘন সংরক্ষিত বন বন্য প্রানীর অভয়াশ্রম যারা প্রকৃতি পছন্দ করেন তাদের জন্য উত্তম জায়গাকথায় আছে নিজে প্রকৃতি উপভোগ করুন অন্যকে ও উপভোগ করতে দিন। এখানে ট্রেকিং করার কিছু  অফিসিয়েলি ট্রেইল করা আছে গাইডের সাহায্য নিয়ে ট্রেইল ভ্রমন নিরাপদ অনেক কিছু জানতে পারবেন গাইড বিহীন ভ্রমনে রাস্তা ভুলার সম্ভাবনা রয়েছে যারা সহজেই বন্য প্রানী দেখতে চায়, তাদের জন্য এই জায়গা উত্তম না  কারন এখানে বন্যপ্রানী  চিড়িয়াখানার মতো বন্ধি না বা সাফারি পার্কের মতো না। এখানে হচ্ছে প্রাকৃতিকভাবে বেঁচে থাকার শেষ আবাস স্থল।

  • আধা ঘন্টার একটা ট্রেইল আছে যেখানে আপনি বনের একটু অংশ উপভোগ করতে পারেন। কিন্তু এই রাস্তা দিয়ে বন্য প্রানী দেখার সুযোগ কমই কারন বেশির ভাগ মানুষ এই পথটি ব্যবহার করেতাই মানুষের হৈ চৈ ও শব্দে বন্য প্রানী দূরে চলে যায়। এখানে দেখতে পারবেন বানর হনুমান। আপনি নিজে নিজে ভ্রমন করলে দেখতে পারবেন, কিন্তু সঠিক তথ্য পাবেন না। তাই আপনাকে একজন গাইড ভাড়া করে নিতে পারেন। মাত্র ২০০ টাকায় এক জন গাইড নিয়ে নিশ্চিন্তে ভ্রমন করুন
  • এক ঘন্টার পায়ে চলার পথে আপনি একই জিনিস দেখবেন, সাথে একটি গ্রাম দেখবেন। এই জঙ্গলের গভীরে একটি উপজাতি/ আদিবাসি বসবাস করে। এই জাতি হচ্ছে খাসিয়া। তারা শুধু সিলেট বিভাগে বাস করে। তাদের আদি নিবাস ভারতের মেঘালয়ে। সিলেট বিভাগ মেঘালয়ের কাছে থাকার কারনে তাদের পূর্ব পুরুষ এখানে এসে বসতি শুরু করেছিল। তারা হচ্ছে মাত্রি তান্ত্রিক। পরিবারের প্রধান হচ্ছে মা। তারা খুব সহজ সরল বন্ধুত্ব পরায়ন। এখানে কিছুক্ষন বসে তাদের জীবন যাত্রা দেখতে পারবেন। অনুমতি ছাড়া তাদের ফটো বা কিছুতে হাত দিবেন না। ৩০০ টাকায় এক ঘন্টা ভ্রমন করতে একজন গাইড নিতে পারেন
  • তিন ঘন্টার ট্রেইলের ভ্রমন একই করা যায় বা আবার শুধু জঙ্গল ট্রেকিং করতে পারবেন। আপনি জঙ্গল ট্রেকিং  অব্যস্থ হলে এই ভ্রমন টি ভালো হবে। জঙ্গল ট্রেকিং একটু কষ্টকর হতে পারে কারন অনেক উচুনিচু পথ, ঝোপ পরিপূর্ণ এলাকা। তবে এডভেঞ্চার ভ্রমনের একটি সুন্দর জায়গা। বন্য প্রানী বেশি দেখা যায় না। কারন তারা উন্মুক্ত মানুষকে ভয় পেয়ে দূরে থাকে।.৫০০ টাকায় একজন গাইড ভাড়া করতে পারেন এই ট্রেইলটি ভ্রমন করার জন্য। 
  • সুন্দর নিরাপদ ভ্রমনে অবশ্যই একজন দক্ষ গাইড ভাড়া করুন
  • প্রবেশ ফিঃ বয়স্ক জন প্রতি- ৫০ টাকা। ছাত্র জন প্রতি- ২০ টাকা। শুটিং প্রতি দিন- প্রায় ,০০০ টাকা। 
  • এখানে একটি ফ্রেশ কর্নার রয়েছে। পরিস্কার পরিচ্ছন্ন ওয়াশরুম।
  • নিরাপদ গাড়ি পার্কিং ও হালকা খাবার এর সুব্যবস্থা রয়েছে।
  • অফিসিয়েলি পার্ক খোলা হয় ৯ টা এবং বন্ধ হয় ৫ টা।

 

কিভাবে যাবেনঃ শ্রীমঙ্গল থেকে পার্কটি ভ্রমন করা সহজ অনেক সুবিধা রয়েছে। এখানে থাকার অনেক 

হোটেল, বাজেট হোটেল থেকে ফাইভ স্টার লেভেলের হোটেল রয়েছে। দূরত্ব প্রায় কিলোমিটার হওয়ায় যেকোন ধরনের পরিবহনে যেতে পারেন। অটো রিকশা, সিএনজি, কার জিপ গাড়ী ভাড়ায় পাওয়া যায়। 

  • ঢাকা থেকে বাসে, ট্রেইনে বা রিজার্ভ গাড়ীতে যেতে পারেন। সময় লাগবে প্রায় - ঘন্টা
  • চিটাগাং থেকে ট্রেইনে বা বাসে যেতে পারেন। ট্রেইন ভ্রমন নিরাপদ। 
  • সিলেট থেকে ট্রিনে বাসে বা রিজার্ভ গাড়ীতে যেতে পারেন। সময় লাগবে প্রায় ঘন্টা বা ঘন্টা ত্রিশ মিনিট 
  • গাইডের জন্য যোগাযোগ করতে পারেনঃ ০১৬ ৭২ ২০ ১৩ ৪৬ (ফোনে না পাইলে, হোয়াটস এপে মেসেজ দিন)

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

শ্রীমঙ্গলে রেস্টুরেন্ট এর তালিকা

শ্রীমঙ্গলে রেস্টুরেন্ট এর তালিকা চায়ের রাজধানী বলে খ্যাত শ্রীমঙ্গল। তাই এই স্থানের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পাচ্ছে দিন দিন। তার সাথে পর্যটকের মনে বাসা বাঁধে শ্রীমঙ্গল দেখার। যদিও শহর টি ছোট, একটি উপজেলা তবুও অনেক গুনে গুণান্বিত। এর প্রচার প্রসার জেলার চেয়েও বেশি। এক সময় ব্রিটিশের অবস্থান এখানেই ছিল বেশি। দিন দিন দেশি বিদেশি পর্যটকের আগমনে স্থানীয় লোকেরা রেস্টুরেন্ট খুলেছেন শ্রীমঙ্গলে । কয়েকটি রেস্টুরেন্টের নাম এখানে দেয়া হলো ।     ( ১ ) কুটুমবাড়ি - খুবই জনপ্রিয় খাবার পরিবেশনকারী রেস্তোরা। অনেক দিন ধরে সুনাম ধরে রাখছে কারন তাদের খাবারের মান ভালো, পরিবেশ ও ভালো। অর্ডারের পরই খাবার রান্না করা হয়।   তার মানে হচ্ছে টাটকা খাবার। সব ধরনের দেশি ও ইন্ডিয়ান খাবারের ব্যবস্থা রয়েছে। পার্সেলে খাবার নেওয়া যায়। শহরের প্রান কেন্দ্রে স্টেশন রোড এ চৌমুহনা সংলগ্ন এই রেস্টুরেন্ট এর অবস্থান। দুপুরের ও রাতের খাবার এর ব্যবস্থা এই রেস্টুরেন্ট করে থাকে। পর্যটকের জন্য পরিবেশ বান্ধব রেস্তোরা।     ( ২ ) পানসী -  ভালো রুচি সম্মত খাবার পাওয়া যায়। ক...

শ্রীমঙ্গল এর হোটেল লিস্ট

শ্রীমঙ্গল এর হোটেল লিস্ট পর্যটকদের সুবিধার্থে কিছু ব্যবসায়ী আবাসন ব্যাবস্থা করেছেন। সব ধরনের হোটেল রয়েছে এখানে। যারা বাজেট হোটেলে থাকতে চান তাদের জন্য অনেক হোটেল শ্রীমঙ্গলে রয়েছে। মোট হোটেল প্রায় ৫০ টি। বাজেট হোটেল ও পাঁচ তারকা মানের হোটেল আছে। প্রত্যেক হোটেল ১০০ ভাগ নিরাপত্তা রয়েছে। কয়েকটি হোটেলের নাম হলোঃ (১) গ্র্যান্ড সুলতান রিজোর্ট (২) দুসাই রিজোর্ট (৩) নভেম রিজোর্ট (৪) আমার বাড়ী রিজোর্ট (৫) টি হ্যাভেন রিজোর্ট (৬) গ্র্যান্ড সেলিম রিজোর্ট (৭) বালিশিরা রিজোর্ট (৮) হোটেল চা (৯) শান্তি বাড়ী কটেজ (১০) নিসর্গ কটেজ (১১) শ্রীমঙ্গল ইন (১২) টি টাউন হোটেল (১৩) গ্রীন লিফ গেস্ট হাউস (১৪) প্লাজা হোটেল (১৫) লেমন গার্ডেন রিজোর্ট (১৬) গ্রান্ড হোটেল (১৭) নিউ রেডিসন হোটেল (১৮) হার্মিটেজ গেস্ট হাউস।  

বাংলাদেশে দেখার কি কি আছে?

বাংলাদেশে দেখার কি কি আছে? বাংলাদেশ এখন ও অনেকের কাছে অজানা। বিশেষ করে বিদেশিদের কাছে। কারন ইহা একটি ছোট্ট দেশ। ধীরে ধীরে    পর্যটনের পরিচিতি লাভ করতেছে। বাংলাদেশে দেখার অনেক কিছু রয়েছে। কিছু স্থানের নাম নিছে দেওয়া হলো। ·           কক্স বাজার হচ্ছে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত। দেশি বিদেশি পর্যটকের ভিড় লেগেই থাকে সব সময়। এই সমুদ্র সৈকত চিটাগাং বিভাগে অবস্থিত। সূর্য অস্ত দেখার উত্তম স্থান। ·           সুন্দরবন হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ বন। এই বনকে আবার রয়েল বেঙ্গল টাইগার (বাংলার বাঘ) এর বাড়ি বলা হয়। বিশ্বের ম্যানগ্রোভ বনটি খুলনা বিভাগে অবস্থিত। ·           ষাট গম্বুজ মসজিদ। ইউনেস্কো ঘোষিত ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট হিসেবে পরিচিত। ·           বরিশালের ভাসমান বাজার। খুব ভোরে ক্রেতা বিক্রেতা ভিড় করেন বাজারে। প্রত্যেক লোকই তাদের নৌকা ব্যবহার করে বাজার হাঁট করেন। ·       ...