আপনাকে স্বাগতম আমাদের এই পেইজটি পড়ার জন্য। এই পেইজে সব সময় আপডেট তথ্য পাবেন লাউয়াছড়া সম্পর্কে। লাউয়াছড়া বন একটি চিরহরিৎ বন। সব সময় গাছের পাতা সবুজ থাকে। লম্বা লম্বা গাছ আর বড় গাছ আর কোথাও পাবেন না। আঁকা বাঁকা পায়েচলা পথে হাঁটা নিরবে বনকে উপভোগ করা। বেশির ভাগ গাছের বয়স ১০০ এর উপর। অনেক ঔষধি গাছ রয়েছে। তাই বোটানির ছাত্র ছাত্রীরা এখানে গবেষনার কাজে আসে। এই বনকে বলা হয়ে থাকে উল্লুকের শেষ আবাস স্থল। এখানেই কয়েকটি উল্লুক পরিবার দেখতে পারবেন। সংখ্যায় কম থাকায় সহজেই দেখা যায় না। ধৈর্য্য ধরে অপেক্ষায় থাকলে অবশ্যই দেখতে পারবেন। লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান খুবই জনপ্রিয় একটি পার্ক। লাউয়াছড়া বন ছিল ভানুগাছ রিজার্ভ ফরেস্ট এর অধিন। পার্ক হিসেবে ঘোষনা হওয়ার পর থেকে জনপ্রিয়তা খুবই বেশি পেয়েছে। তাই বিশেষ দিন যেমন শুক্রবার, শনিবার অথবা ছুটির দিনে পর্যটকের ঢল নেমে আসে। ৮০০ থেকে ১০০০ মানুষ এই পার্কে আসে বিশেষ দিনগুলোতে। এই বনের মূল আকর্ষণ হলো ট্রপিক্যাল রেইন ফরেস্ট। ঘন সংরক্ষিত বন। বন্য প্রানীর অভয়াশ্রম। যারা প্রকৃতি পছন্দ করেন তাদের জন্য উত্তম জায়গা। কথায় আছে নিজে প্রকৃতি উপভোগ করুন অন্যকে ও উপভোগ করতে দিন। এখানে ট্রেকিং করার কিছু অফিসিয়েলি ট্রেইল করা আছে। গাইডের সাহায্য নিয়ে ট্রেইল ভ্রমন নিরাপদ ও অনেক কিছু জানতে পারবেন। গাইড বিহীন ভ্রমনে রাস্তা ভুলার সম্ভাবনা রয়েছে। যারা সহজেই বন্য প্রানী দেখতে চায়, তাদের জন্য এই জায়গা উত্তম না। কারন এখানে বন্যপ্রানী চিড়িয়াখানার মতো বন্ধি না বা সাফারি পার্কের মতো না। এখানে হচ্ছে প্রাকৃতিকভাবে বেঁচে থাকার শেষ আবাস স্থল।
- আধা ঘন্টার একটা ট্রেইল আছে যেখানে আপনি বনের একটু অংশ উপভোগ করতে পারেন। কিন্তু এই রাস্তা দিয়ে বন্য প্রানী দেখার সুযোগ কমই কারন বেশির ভাগ মানুষ এই
পথটি ব্যবহার করে। তাই
মানুষের হৈ চৈ ও শব্দে বন্য প্রানী দূরে চলে যায়। এখানে দেখতে পারবেন বানর ও
হনুমান। আপনি নিজে নিজে ভ্রমন করলে দেখতে পারবেন, কিন্তু সঠিক তথ্য পাবেন না। তাই আপনাকে একজন গাইড ভাড়া করে নিতে পারেন। মাত্র ২০০ টাকায় এক জন গাইড নিয়ে নিশ্চিন্তে ভ্রমন করুন।
- এক ঘন্টার পায়ে চলার পথে আপনি একই জিনিস দেখবেন, সাথে একটি গ্রাম দেখবেন। এই জঙ্গলের গভীরে একটি উপজাতি/ আদিবাসি বসবাস করে। এই জাতি হচ্ছে খাসিয়া। তারা শুধু সিলেট বিভাগে বাস করে। তাদের আদি নিবাস ভারতের মেঘালয়ে। সিলেট বিভাগ মেঘালয়ের কাছে থাকার কারনে তাদের পূর্ব পুরুষ এখানে এসে বসতি শুরু করেছিল। তারা হচ্ছে মাত্রি তান্ত্রিক। পরিবারের প্রধান হচ্ছে মা। তারা খুব সহজ সরল ও
বন্ধুত্ব
পরায়ন। এখানে কিছুক্ষন বসে তাদের জীবন যাত্রা দেখতে পারবেন। অনুমতি ছাড়া তাদের ফটো বা কিছুতে হাত দিবেন না। ৩০০ টাকায় এক ঘন্টা ভ্রমন করতে একজন গাইড নিতে পারেন।
- তিন ঘন্টার ট্রেইলের ভ্রমন ও
একই করা যায় বা আবার শুধু জঙ্গল ট্রেকিং করতে পারবেন। আপনি জঙ্গল ট্রেকিং এ অব্যস্থ হলে এই ভ্রমন টি ভালো হবে। জঙ্গল ট্রেকিং একটু কষ্টকর হতে পারে কারন অনেক উচুনিচু পথ, ঝোপ এ
পরিপূর্ণ
এলাকা। তবে এডভেঞ্চার ভ্রমনের একটি সুন্দর জায়গা। বন্য প্রানী বেশি দেখা যায় না। কারন তারা উন্মুক্ত ও
মানুষকে ভয় পেয়ে দূরে থাকে।.৫০০ টাকায় একজন গাইড ভাড়া করতে পারেন এই ট্রেইলটি ভ্রমন করার
জন্য।
- সুন্দর ও
নিরাপদ ভ্রমনে অবশ্যই একজন দক্ষ গাইড ভাড়া করুন।
- প্রবেশ ফিঃ বয়স্ক জন প্রতি- ৫০ টাকা। ছাত্র জন প্রতি- ২০ টাকা। শুটিং প্রতি দিন- প্রায় ৭,০০০ টাকা।
- এখানে
একটি ফ্রেশ কর্নার রয়েছে। পরিস্কার পরিচ্ছন্ন ওয়াশরুম।
- নিরাপদ
গাড়ি পার্কিং ও হালকা খাবার এর সুব্যবস্থা রয়েছে।
- অফিসিয়েলি
পার্ক খোলা হয় ৯ টা এবং বন্ধ হয় ৫ টা।
কিভাবে যাবেনঃ শ্রীমঙ্গল থেকে পার্কটি ভ্রমন করা সহজ ও অনেক সুবিধা রয়েছে। এখানে থাকার অনেক
হোটেল, বাজেট হোটেল থেকে ফাইভ স্টার লেভেলের হোটেল রয়েছে। দূরত্ব প্রায় ৮ কিলোমিটার হওয়ায় যেকোন ধরনের পরিবহনে যেতে পারেন। অটো রিকশা, সিএনজি, কার ও জিপ গাড়ী ভাড়ায় পাওয়া যায়।
- ঢাকা থেকে বাসে, ট্রেইনে বা রিজার্ভ গাড়ীতে যেতে পারেন। সময় লাগবে প্রায় ৪-
৫ ঘন্টা।
- চিটাগাং থেকে ট্রেইনে বা বাসে যেতে পারেন। ট্রেইন ভ্রমন নিরাপদ।
- সিলেট থেকে ট্রিনে বাসে বা রিজার্ভ গাড়ীতে যেতে পারেন। সময় লাগবে প্রায় ১ ঘন্টা বা ১ ঘন্টা ত্রিশ মিনিট।
- গাইডের জন্য যোগাযোগ করতে পারেনঃ ০১৬ ৭২ ২০ ১৩ ৪৬ (ফোনে না পাইলে, হোয়াটস এপে মেসেজ দিন)
